প্রায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের রেকর্ড হচ্ছে ভারতে৷ ধারণা করা হচ্ছে এর পেছনে দেশটিতে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন রূপের ভূমিকা রয়েছে। ভারত থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে আসা ১০ রোগী যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে রবিবার দুপুরের মধ্যে তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। হাসপাতালের রেজিস্টারে দেওয়া এসব রোগীর নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলে দ্রুতই তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স লাবনী বিশ্বাস বলেন, ভারত থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা ১০ জন রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভারতফেরৎ কিছু রোগী ভর্তি হন। রবিবারও কিছু রোগী আসে। সবমিলিয়ে ১০ করোনা রোগী হাসপাতালে আসে। তাদের হাসপাতালের তৃতীয় তলার করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী এ ১০ রোগী হলেন- যশোর শহরের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই গ্রামের একরামের স্ত্রী রোমা (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মমিন, রামকান্তপুর গ্রামের গোলার রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতোষের স্ত্রী শেফালি রানি, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদ সানা ছেলে আমিরুল সানা ও একই জেলার রূপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘রোগী পালানোর কথা শুনে রবিবার সকালেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। পালিয়ে যাওয়া রোগীদের নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।’
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনার রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে’।