বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল ঝালকাঠিতে নিজের শরীরের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে করে করোনায় আক্রান্ত মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন জিয়াউল হাসান নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তার মা বর্তমানে করোনামুক্ত হলেও এবার তিনি নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিজেই নিশ্চিত করেছেন কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার ওই সিনিয়র কর্মকর্তা।
তিনি জানান, শনিবার নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য যান তিনি এবং তার মা ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিবুল হাসান।
অ্যান্টিজেন টেস্টের কারণে অল্প সময়ের মধেই ফলাফল পান তারা। যে ফলাফলে তার মা ও ছোটভাই করোনামুক্ত হলেও তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়।
জিয়াউল হাসান বলেন, করোনা পজেটিভ হলেও শারীরিকভাবে ভালো আছি। তেমন কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না এখনো, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন আর সেই অনুযায়ী চলছেন।
তিনি বলেন, যাই হোক না কেন মা সুস্থ হয়ে উঠেছেন এটাই আনন্দের।
উল্লেখ্য ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকার রেহেনা পারভীনের শরীরে জ্বর দেখা দিলে তার ছেলেরা গত ৯ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং তার করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও রিপোর্ট না আসায় ১৫ এপ্রিল শেবাচিম হাসপাতালে পুনরায় নমুনা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট হলে মা রেহেনা পারভীনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ শেবাচিম হাসপাতালে যান জিয়াউল হাসান।
এরপর রেহেনা পারভীন সুস্থ হয়ে উঠেন। পরে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সেই মোরসাইকেল দিয়ে মাকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন জিয়াউল। তবে ওইসময় নমুনা পরীক্ষা না করায় রেহেনা পারভীন করোনামুক্ত ছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।