সারাদেশে দিন দিন ভয়ঙ্কর হচ্ছে বৈশ্বিক মহামারি করোনার তাণ্ডব। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সেইসঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজবাড়ীতে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন সংকটের সমাধানে এগিয়ে এসেছে একটি বেসরকারি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘রাজবাড়ী হেল্পলাইন’।
এরই মধ্যে তারা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সংগ্রহ করেছে পনেরটি অক্সিজেন সিলিন্ডার। খোলা হয়েছে চারটি হেল্পলাইন। যার প্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তারা উল্লেখ্য করেছে, কেউ যদি অক্সিজেন সংকটে পড়েন, তবে মোবাইল নম্বরে ফোন দিলেই সংগঠনের কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে এই সেবা পৌঁছে দেবেন।
‘সুস্থ ভোরে আমরা এক সাথে হাঁটব অনেকটা দূর’ — এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ী হেল্পলাইনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন জয়ন্ত দাস, নেহাল আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন রনি ও ডা. সুমন হুসাইন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সংগঠনের কর্মীরা শহরের বড়পুল এলাকায় তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো সাজিয়ে রেখেছেন।
এ সময় রাজবাড়ী হেল্পলাইনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা জয়ন্ত দাস বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে শুরু করেছি। মঙ্গলবার অথবা বুধবারের মধ্যে আমাদের সিলিন্ডার হবে ২০টি। আমরা আমাদের হেল্পলাইনগুলো সচল রেখেছি। যে কেউ ফোন দিলেই তার বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হবে।
নেহাল আহম্মেদ বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আমরা রাজবাড়ীবাসী হিসেবে জেলাবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মানুষেরাও এগিয়ে আসছেন। একটি মানুষও যেন অক্সিজেনের সংকটে না পড়ে আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ডা. সুমন হুসাইন বলেন, রাজবাড়ী হেল্পলাইন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যেটি একটি নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখে। তিনি আরও বলেন, শুধু অক্সিজেন সেবা নয়, পাশাপাশি রাজবাড়ী হেল্পলাইন রমজানের প্রথম দিন থেকে ৫ টাকায় ৫০ জন করে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে আসছে। যা পুরো রমজান মাসজুড়ে চলমান থাকবে।