আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল ঝিনাইদহের বিভিন্ন মার্কেটে পোশাকের দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বিভিন্ন দোকান ও শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই গাদাগাদি করে কেনা-বেচা করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের মুন্সি মার্কেট, গীতাঞ্জলি সড়কসহ বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই দোকানে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। অভিভাবকদের সঙ্গে শপিংমলে ঘুরছে শিশুরাও।
শহরের হামদহ থেকে আসা এক নারী বলেন, ‘আজকের দিন পরে তো আবার সব বন্ধ করে দেবে। তাই বাচ্চাদের কাপড় কিনতে এসেছি। লকডাউন চলছে তো কী করব বলেন? কেনাকাটা তো করতে হবে। আবার কবে খুলবে কে জানে; তাই আগেই কিনে নিয়ে যাচ্চি।’
আরাপপুর থেকে আসা এক নারী বলেন, ‘ছেলে আর মেয়ের কাপড় কিনব বলে মার্কেটে এসেছি। দুটি ড্রেস কিনেছি, আরও দুটি কিনবো। দোকানে অনেক ভিড়। ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে কিনছি। করোনার ভয় আছে তারপরও আসলাম- বাচ্চাদের আবদার তো শুনতে হবে।’
পোশাকের দোকান ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভিড়ের কারণে শহরে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করোনার ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ‘আজও ঝিনাইদহে নতুন করে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল (সোমবার) একজন মারা গেছেন। করোনার এই পরিস্থিতিতে মানুষ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাটে ভিড় করছে। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ‘মানুষের বাইরে আসা, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।’