লালমনিরহাটে আ.লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আতঙ্কিত পুরো শহর

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আতঙ্কিত পুরো শহর। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এলাকায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে সবুজের সঙ্গে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বিবাদ লাগে কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মীর। এরই জের ধরে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী গত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় সবুজের বাড়িতে গিয়ে গালমন্দ ও ঢিল ছুড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় পরদিন ৯ এপ্রিল সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করকে প্রধান করে বেশ কিছু ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সবুজের পরিবার। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় ফুসে উঠে পুরো ছাত্রলীগ। তারা সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে শুক্রবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ছাত্রলীগ। এতে মামলা প্রত্যাহার না হলে সোমবার জেলায় হরতাল পালনের ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ।

এদিকে শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মতিয়ার রহমানের ভাতিজা এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় অতিক্রম করলে ছাত্রলীগ ধাওয়া দেয়। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। দু’পক্ষের অস্ত্রের মহড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো শহর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত্র দুই গ্রুপ দুই দিকে মাঝে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে মতিয়ার গ্রুপ এবং ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ। আবারও যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকায় আতংকিত পুরো শহর।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা চলছে।

Scroll to Top