বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু\’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই বিয়ে যখন কাল হয়ে দাঁড়ায় হারাতে হয় অনেক কিছু। ছেলে পালিয়ে বিয়ে করায় তার স্কুলশিক্ষক বাবাকে কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের মধুখালী থানার ওসির বিরুদ্ধে। বিয়ে মেনে না নিতে পারায় আরও নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কনের পরিবারের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন ভুক্তভোগী দম্পতি।
গত ১১ মার্চ ফরিদপুরের মধুখালীর বাসিন্দা সেতু ঘোষ পালিয়ে বিয়ে করেন একই এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাসকে। এই দম্পতির অভিযোগ, এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি বিত্তশালী সেতুর পরিবার। বিয়ের পর থেকেই সজীবের পরিবারের ওপর নানাভাবে হয়রানি করছেন তারা।
হয়রানি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সেতু বিশ্বাস ও সজিব বিশ্বাস। সংবাদ সম্মেলনে সেতু বিশ্বাস জানান, ‘তিনি সাবালিকা। নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন।’
সেতু আরও বলেন, ‘সজিবের পরিবার বিত্তশালী না হওয়ায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।’ এমনকি তার শ্বশুরকে থানায় ডেকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি ওসি কান ধরে উঠবস করিয়েছেন বলে জানান সেতু।
সজীব বিশ্বাস বলেন, ‘থানায় উপস্থিত সকলের সামনে বাবাকে কান ধরে উঠবস করান থানার ওসি। এ সময় শারীরিক নির্যাতনও করেন ওসি।’ সজিবের প্রশ্ন একজন শিক্ষকের সঙ্গে থানার ওসি কী এমন আচরণ করতে পারেন?
সজীবের বাবা সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, থানায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে শার্টের কলার ধরে ওসির কক্ষে নিয়ে যায়। ওসির রুমে সেসময় বসা ছিলেন মেয়ের কাকা ও তার সহযোগীরা। তখন তিনি সকলের সামনে নানা অপমানজনক কথা বলার পাশাপাশি কান ধরে উঠবস করানোর পাশাপাশি লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘মেয়েপক্ষের লোক অবস্থা সম্পন্ন আর ছেলেপক্ষ গরিব এটা সত্য। তারা দুই পক্ষ আসছিল। মাস্টার বলেন, আমাকে দুইদিন সময় দিন, এর মধ্যে হাজির করব। এখন যে সে উল্টাপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছে। সত্য না, তারা যদি আকাশে উঠেও বলে, মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বলুক, প্রমাণ করতে হবে তো তাই না।’
এদিকে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পাশাপাশি হত্যার হুমকি পাওয়ায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন সেতু ও সজীব।
:বিডি প্রতিদিন