১৩ বছরের এক কিশোরীর বিয়ে পড়াতে গিয়ে এক কাজীর ১ বছর জেল দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এর ৫ মাস পর কিশোরীকে ১৮ বছর দেখিয়ে আরেক কাজী বিয়ে পড়ালেন। এতে এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের ভুলসোমা গ্রামে।
এতে স্থানীয়রা বলেন, ২০২০ সালের অক্টোবরে স্কুল ছাত্রীর বিয়ের খবর শুনে ঘটনাস্থলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভিন পুলিশ নিয়ে আসেন। পুলিশ আশার খবর শুনেই বড় ও কনের লোকজন পালিয়ে যান। পরে যে কাজী বিয়ে পড়াতে এসেছিলেন তাকে ১ বছর সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচাখিল ইউনিয়নের কাজী মো. শহিদুল ইসলামকে আটক করে তাঁর স্বীকারোক্তিতে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের জেলের আদেশ দেন। এ অবস্থায় পুলিশ ওই দিনই কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কাজী শহিদুল ইসলামকে কারাপরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
জামিনে আসা দণ্ডপ্রাপ্ত সেই কাজী বলেন, ১৩ বছরের মেয়ের বয়স ১৮ বছর করে বিয়ে পড়ান ইউনিয়নের কাজী নুরুল ইসলাম নুরুল্লাহ।