বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের সাগরে জালে প্রায় ৩৭ কেজি ওজনের রূপালি পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। ওই পোয়া মাছটি বিক্রি করা হয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায়।
সোমবার বঙ্গোপসাগরের ১৭ বাইন এলাকায় মাছটি জালে ধরা পড়ে। ওই মাছটি দেখতে টেকনাফে কায়ুকখালীয়া মৎস্য ঘাটে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ শফিক বলেন, গত শনিবার সকালে তার মালিকানাধীন ট্রলারটি নিয়ে ১০ জন মাঝি-মাল্লা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। এ সময় মাছ ধরার জন্য লাক্ষা জাল সাগরের ফেলা হয়। সাগরে জালটি বারবার টান দিচ্ছিল। তখন মনে হয় বড় কিছু জালে আটকেছে। জাল টেনে কাছে আনতেই বড় মাছ দেখা যায়। পরে মাছটি ধরে নৌকা নিয়ে তীরে ফেরত আসি।
এরপর ওজন করে দেখি মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৭০০ গ্রাম। মাছটি দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায় সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা এলাকার আজিজ উল্লাহর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেছি।
মাছটির ক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ঝুঁকি নিয়ে মাছটি কিনেছি। মাছটি এখনও বিক্রি করিনি। মাছটি ফিশারিজে রেখেছি। ওই পোয়া মাছটি কেটে বিক্রি করলে প্রতি কেজির দাম ৭০০ টাকার বেশি পাওয়া যাবে না। তবে এর বায়ুথলির দাম অনেক চড়া। এ মাছের বায়ুথলির দাম বেশি হওয়ায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এত বড় পোয়া মাছ সহজে ধরা পড়ে না। পোয়া মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির অত্যধিক মূল্য। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিকাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির বেশ কদর।