কমলালেবুর মধ্যে শত শত ইয়াবা!

একের পর এক অভিনব নতুন কৌশল বেড় করেই চলেছে চোরাচালানকারীরা। এবার কমলালেবুর মধ্যে চোরাচালান হচ্ছে ইয়াবা। আকারভেদে একেকটি কমলায় ঢোকানো হচ্ছে একশ থেকে দুইশোটি ইয়াবা। তারপর ঝুড়িতে কিংবা কার্টনে ইয়াবা-ভর্তি ফল সাজিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে একেকটি চালান। মাদক কারবারিদের অভিনব কৌশল ঠেকাতে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

জানা গেছে, কমলালেবুর মধ্যভাগে, নিচের অংশ থেকে উপরের দিকে আঙুলের চাপে তৈরি করা হচ্ছে ফাঁকা জায়গা। তারপর রাখা হচ্ছে পলিথিনে মোড়া ইয়াবা। ইয়াবা-ভর্তি কমলা থরে থরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে ঝুড়ি কিংবা কার্টনে। ইদানিং কক্সবাজার থেকে এভাবেই চালান সরবরাহের কৌশল নিয়েছে কারবারিরা।

এরকমই একটি ইয়াবার চালান ধরতে রাজধানীর মতিঝিলে টানা বারো ঘণ্টা ওঁৎ পেতে থেকে কার্টন বহনকারী এক তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। কার্টন খুলে দেখা যায় কমলালেবু। কিন্তু খোসা খুলে কোষ আলাদা করতেই বেরিয়ে আসে ইয়াবা।

ইয়াবার বাহক মোহাম্মদ সজীব জানান, \’এসব কাজ আমি করি না। আমাকে এ কাজ একজন দিয়েছে। তিনি কাকী হন। সে বলেছে এটা তুমি নিয়ে যাও। এগুলোর মধ্যে কমলা আছে।\’

আভিযানিক দলটি জানিয়েছে, ছোট আকারের একেকটি কমলায় মিলেছে একশটি, আর বড়গুলোতে পাওয়া গেছে দুইশো করে ইয়াবা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিম পরিদর্শক কামরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, \’আমাদের কাছে তথ্য ছিলো ঝুড়িতে করে ইয়াবা নিয়ে আসবে। পরে কার্টন করে আনতে দেখে সন্দেহ হয়।\’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, \’যে কোন ভাবেই তারা মাদক পাচার করুক না কেন আমরা তৎপর। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি, সেটা চলতে থাকবে। কোন ভাবেই এই মাদক কারকারীরা রেহাই পাবে না।\’

সীমান্তের নজরদারি এড়িয়ে প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান ঢুকছে কক্সবাজারে। তাই প্রবেশ পথ বন্ধ করা ছাড়া নেশাজাতীয় বড়িটির ছড়াছড়ি ঠেকানো প্রায় অসম্ভব, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

Scroll to Top