আজ সোমবার থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। গত রবিবার জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকাগুলো হলো- চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর বা চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।
উল্লেখ্য, অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলার জাটকা আহরণে বিরত থাকা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলেদের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল ইতোমধ্যে বরাদ্দ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জাটকা সংরক্ষণের জন্য জেলেপাড়া ও আড়ৎগুলোতে মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটিয়ে প্রচারণা করা হচ্ছে এবং ২৪ ঘণ্টা অভিযান চলবে। মাছ আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে সোমবার থেকে খাদ্য সহায়তায় চাল বিতরণ করা হবে।
এদিকে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, জেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার জেলেকে চার মাস করে ৪০ কেজি করে ১৬০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। যাতে করে তাদের কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। তবে বাকি জেলেদেরও খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এই দুই মাস কোনও জেলেই খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবে না।