জমির দাম বেশি পেতে মহাসড়কের পাশে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী বাড়ি!

দেশে বহাল রয়েছে উন্নতির ধারা। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। সড়কের দু’ধারের জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্তের সুযোগে জমি এবং অবকাঠামোর মূল্য বেশী পাওয়ার আশায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুরের রাস্তার পাশে জমির মালিকরা বিভিন্ন ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে এখনও নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন যারা নতুন অবকাঠামো তৈরী করছেন তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি সাসেক-২ (সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কর্পোরেশন) প্রকল্পের অধীনে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত ১৯০ কি.মি ৬ লেনের কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। সড়কটির পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর এলাকায় জমির মালিকরা অবকাঠামো ও জমির মূল্য বেশি পেতে সড়ক সংলগ্ন উভয়পাশে রাতারাতি সাইনবোর্ড সর্বস্ব পাকা ও আধা পাকা বাসা এবং নাম সর্বস্ব দোকান-মার্কেট নির্মাণ ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করছেন। মহাসড়কের বিধিমালা অনুযায়ী সড়কের উপরে, নীচে বা পরবর্তী ১০ মিটারের মধ্যে কোনকিছু নির্মাণ বা স্থাপনা করা যাবে না মর্মে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলেও তা উপেক্ষা করে অবৈধ নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। জমির মূল্যের ৩ গুণ আর অবকাঠামোর মূল্যের ২ গুণ বেশি করে টাকা দেয়া হবে এমন খবরে চলছে এই নির্মাণ কাজের প্রতিযোগিতা।

পীরগঞ্জের বড়দরগাহ থেকে দক্ষিণে খেদমতপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কি.মি এলাকা অধিগ্রহণের আগেই পুরাতন টিনের ছাউনি দিয়ে ঘরের চালা আর ঢালাইকৃত একতলা ও দ্বিতল ভবনের কাজ করা হয়েছে।

সড়কটির, বড়দরগাহ, রাউতপাড়া, শুকানচৌকি, লালদীঘি, জামতলা, সোনাকান্দর, বাসস্ট্যান্ড, আংরারব্রীজ, উজিরপুর, মজিদপুর, খেদমতপুর, তুলারাম মজিদপুর, মাদারহাট ও ধাপেরহাটসহ বেশকিছু স্থানে রাতারাতি স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এছাড়া মিঠাপুকুরে শঠিবাড়ি, দমদমা এলাকাতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু স্থাপনা। এমন কি অন্যের জমি লিজ নিয়েও অবকাঠামো নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।

সড়কটির নির্মাণকাজে কর্মরত চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আফিত হোসেন বলেন, সড়কের কাজ শুরু করার আগে জমির স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারন করা হয়েছে। পরপর ৩ বার ভিডিও চিত্র ধারণ করে জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথ তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। যারা নতুন অবকাঠামো তৈরী করছে তাদের ক্ষতিপুরুণ পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

Scroll to Top