নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আজ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে দুই মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে ভোটারদের জোরপূর্বক নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করায় দুই এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সকাল সাড়ে ১০টা-১১টা পর্যন্ত পৃথক কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সোনাইমুড়ী উপজেলার বাহারকুট গ্রামের আবদুল হকের ছেলে মোহন (২০)। অপর আহতরা হচ্ছেন- উলুপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) ও আমিরাবাদ গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে সালা উদ্দিনসহ (২৯) ৪ জন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, তারা সবাই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের সমর্থক। সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর তারা পৌরসভার ৬নং বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাশের একটি বাড়িতে বসে ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল প্রতীকের একদল সমর্থক তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ও ককটেলের বিস্ফোরণ করে।
এতে মোহনের পা’সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। হামলার সময় দৌঁড়ে পালাতে গেলে মনির ও সালা উদ্দিনসহ আরো ৪ জনকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
আহত মনির হোসেন বলেন, কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই মোবাইল প্রতীকের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মোহন, সালাউদ্দিনসহ আমরা তিনজন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছি। মোহনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা এসআই রুবেল মিয়া জানান, সকাল থেকে কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালে কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।
অপরদিকে পৌরসভাটির ১নং কৌশল্যারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে ভোট দিতে আসা কয়েকজন ভোটারকে জোরপূর্বক সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর চশমা প্রতীকে ভোট দিতে বলে দুজন এজেন্ট। পরে ভোটারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই এজেন্টকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই ফারুক হোসেন।
উল্লেখ্য, পৌরসভার মোট ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে রোববার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। পৌরসভাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩২ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৮৩৬ ও নারী ভোটার রয়েছে ১২ হাজার ৩৯৬ জন।