ভালো দামের আশায় পেঁয়াজ চাষ করে এখন হতাশ নওগাঁর পেঁয়াজ চাষিরা। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এক হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে দর কমে তা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে হাটে।
এতে এক কৃষক জানান, চড়া দামে কেনা পেঁয়াজের বীজসহ এবার চাষে খরচ বেড়েছে। দফায় দফায় দর কমায় উৎপাদন খরচ ওঠছে না বলেও অভিযোগ তাদের। আমদানি নির্ভরতা কমাতে পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করার তাগিদ কৃষি বিভাগের।
এক বিঘা জমিতে চাষ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তুলে হাটে নেওয়ার প্রস্ততি নওগাঁ সদর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের এক কৃষকের। ভালো দাম পাওয়ার আশায় চড়া দামে বীজ কিনে এবার তার মতো অনেক কৃষকই চাষ করেন পেঁয়াজ। তবে মাঠ থেকে তোলা পেঁয়াজ বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে মুখ ভার করে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করেন কৃষকরা। ক্ষেত থেকে তুলে এখন হাটে আনছেন চাষিরা। হাটগুলোতে গত দুই সপ্তাহ আগে এক হাজার ২০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও হঠাৎ দর কমে এখন ৮০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। আমদানি নির্ভরতা কমাতে এবার জেলায় অধিক জমিতে পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দেয় কৃষি বিভাগ।
কিন্তু পেঁয়াজের নায্য দাম নিশ্চিত করা না হলে কৃষকরা আগ্রহ হারাবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তা মো. সামসুল ওয়াদুদ। জেলায় ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। যেখান থেকে এক লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।