বগুড়ার সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে আমিনুর ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমিনুর সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের কাহলা গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শহরের একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমিনুরের গত ২৪ অক্টোবর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আমিনুর ওই ছাত্রীকে দেখা করার জন্য বিভিন্নভাবে ফুসলাতে থাকেন। এরপর গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে আমিনুর ওই ছাত্রীকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার কল করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার বাড়ির সামনে দাঁড়ালে আমিনুর সিএনজিচালিত অটো রিকশা নিয়ে সেখানে আসেন এবং ওই ছাত্রীকে তার অটোরিকশায় তুলে এরুলিয়া এলাকায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে তার বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়।
মেয়ের এমন কথায় তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবককে কীভাবে শনাক্ত করবে তারা ভেবে পাচ্ছিলেন না। এরপর ওই ছাত্রীর বাবা জেলার একজন সংবাদকর্মীর পরামর্শে রোববার (১ নভেম্বর) রাতে থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আমিনুরকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় দুপুরে সদর থানায় ওই ছাত্রীর বাবা আমিনুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বগুড়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, অভিযুক্ত আমিনুর তার পরিচয় গোপন রেখে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করলে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে পুলিশ মাঠে নেমে অভিযান চালিয়ে ভোরে অভিযুক্ত আমিনুরকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।