ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ধরার দায়ে আরও ২১ জেলের জেল জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে ১৫ জনের এক বছর কারাদণ্ড ও ৬ জনের ৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে রোববার (১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত আটকদের এ জেল জরিমানা করা হয়।
জেলা মৎস্য অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৬ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে ২১ জনকে আটক ছাড়াও ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৭২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
আটকদের মধ্যে ভোলা সদর থেকে ১২ জনের মধ্যে ৯ জনের কারাদণ্ড, দৌলতখান থেকে ৩ জনের মধ্যে ২ জনের কারাদণ্ড ও চরফ্যাশন ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং বাকিদের জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ইলিশ নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিনে জেলায় সর্বমোট ৫১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩১৭ জনের কারাদণ্ড এবং ১৯৪ জনের জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১.৬৫ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
ভোলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর আমাদের ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হয়েছে। যে কারণে ইলিশ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তা অর্জিত হবে। এ বছর ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।