নেত্রকোনার পৌর এলাকায় টিভি দেখানোর কথা বলে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাহের মিয়া (৬০) নামের এক শ্রমিককে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আটক তাহের মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পৌর এলাকার কাটলী খালপাড় এলাকায় গত শনিবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে রবিবার সন্ধ্যায় শিশুর মা বাদী হয়ে তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত তাহেরকে রাতেই আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, অভিযোগের সাথে সাথেই অভিযুক্তকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে অভিযুক্ত তাহের মিয়া ঘটনার কথা স্বীকার করায় তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভিকটিমের বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি আমরা। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের যেকোন ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি দেখবে পুলিশ। ভিকটিমের পরিবার ও প্রতিবেশিরা জানান, পৌর শহরের কাটলি খালপাড় এলাকার এক মালিকের বাড়িতে ৯ পরিবার একসাথে ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে তাহের মিয়াও তার পরিবার নিয়ে থাকেন। তাহের মিয়ার স্ত্রী বাবার বাড়িতে যাওয়ার পর শনিবার পাশের ঘরের ৫ বছরের এক শিশুকে টিভি দেখানোর কথা বলে তাহের মিয়া নির্যাতন করে।
পরে দীর্ঘক্ষণ শিশুটিকে না পেয়ে শিশুর মা ও দাদী খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে তাহের মিয়া নিজেই আওয়াজ দেন তার ঘরে শিশুটি টিভি দেখছে। এ সময় শিশুটিকে আনতে গেলে ভেতর থেকে দরজা আটকানো থাকায় শিশুটির মা চিৎকার চেঁচামেচি করেন। পরে দরজা খুলে দিলে তাহের মিয়ার ঘর থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর তাহেরকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে শিশুটিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সোমবার দুপুরে বাড়ি পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তাহেরের স্ত্রী বলেন, আমি খবর পেয়ে বাবার বাড়ি থেকে ছুটে এসেছি। এসে দেখি স্বামী পলাতক। তিনি বলেন, ধর্ষণ করেছে মনে হচ্ছে না। কিন্তু যেটি করেছে এটিই করা ঠিক না। শিশুকে নিয়ে এমন করার জন্য তিনিও সঠিক শাস্তি দাবি করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় অন্যান্য শিশু ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।