ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাক-প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১২) ফসলি জমিতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. দেলোয়ার হোসেন (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের পাঁচভিটা গ্রামের রুপা মেম্বারের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত দেলোয়ার একই এলাকার মো. মলাই মিয়ার ছেলে।
কিশোরীর মা জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই কিশোরীকে দিয়ে তার চাচাতো ভাই মানিক মিয়ার স্ত্রী মিনা বেগমের বাড়িতে তরকারি দিয়ে পাঠায়। কিন্তু বেশ কতক্ষণ পরেও ওই কিশোরী ঘরে ফিরে না আসায় তিনি খুঁজতে বের হন। এসময় মানিক মিয়ার বাড়ির পিছনে কলাগাছের কাছে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের গলার আওয়াজ শুনতে পায়।
টর্চের আলো জ্বালালে অভিযুক্ত দেলোয়ার দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে মেয়ে তাকে জানায়, তরকারি দিয়ে ঘরে ফেরার পথে অভিযুক্ত দেলোয়ার তাকে জাপটে ধরে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও মেয়ের মা তা মেনে নেয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ারকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তামান্না হক বলেন, ভিকটিমের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদ মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত দেলোয়ারকে আটক করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন ও ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।