স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টায় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি বাদলকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এছাড়া এ ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) ভোরে ঢাকা মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে এবং নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ও রাতে অভিযান চালিয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহিম ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে গ্রেফতার করা হয়।
এএসপি সুজয় সরকার জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশীদ চৌধুরী জানান, পুলিশের পাঁচটি ইউনিট সাত ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে আসামি রহিম ও রহমতকে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে ভয়ে বাড়ি ছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর কয়েকজন গা ঢাকা দিতে রাজধানীতে অবস্থান নিয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। রোববার মধ্যরাত থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে সোমবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা মহাসড়ক থেকে ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার ৩৩ দিন পর রোববার দিনগত রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ধর্ষণচেষ্টার মামলা করলেও স্থানীয়দের দাবি, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তাকে ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারা হয়তো ভয়ে গণধর্ষণের বিষয়টি গোপন করছেন।