শেরপুরে বাঙালী নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযানকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত আলী সেখের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শেরপুর উপজেলার গজারিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মেহের আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৬), আজিজার রহমানের ছেলে ওসমান গনি (২৮), গজারিয়া মধ্যপাড়ার জাফর প্রামাণিকের ছেলে আলম প্রামাণিক (৩৫), তোজাম প্রামাণিকের ছেলে ইব্রাহিম প্রামাণিক (২০), গোলাম প্রামাণিকের ছেলে শাহীন শাহ (২০), গোলাম নবীর ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), নলডেঙ্গী গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে রুবেল আহমেদ (৩৫) ও আশরাফ আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৭)।
আজ রবিবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে শেরপুর থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকায় বাঙালী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার খবর পেয়ে সেখানে যান ইউএনও লিয়াকত আলী সেখ। তিনি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় তার জিপগাড়ি নিয়ে সেখানে যান। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ আরো ২ কর্মচারী।
সেখানে ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা ভূমি অফিসের নৈশপ্রহরী মুঞ্জরুল বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম অপসারণের চেষ্টাকালে বালুদস্যুরা হামলা চালিয়ে ইউএনও গাড়িটি ভাঙচুর করেন। এ সময় তাদের মারপিটে নৈশপ্রহরী মুঞ্জরুল হক বাচ্চু ও ভূমি অফিসের কর্মচারী উজ্জল পাল আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে উপজেলা ভূমি অফিসের নৈশপ্রহরী মুঞ্জরুল হক বাচ্চু বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সরকারি কাজে বাধাদান, বেআইনি জনতার সমাবেশ, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও ভাঙচুরের অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৮৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।