সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজ (এমসি), খাগড়াছড়ির প্রতিবন্ধী কিশোরী গণধর্ষণ ও নীলা রায় হত্যাকাণ্ডসহ সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ- হত্যার আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে নেত্রকোনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ২০টি সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শহরের পৌরসভার সামনের সড়কে জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্বে সম্মিলিত জোটের ব্যানারে এ সকল সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
কর্মসূচিতে সম্মিলিত জোটের সমন্বয়কারী জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব, মহিলা পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, মধুমাছি কচিকাঁচার মেলা, নারী প্রগতি সংঘ, মিতালী সংঘ, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠী, সাহিত্য সমাজ, হিমু পাঠক আড্ডা, শিশু ছায়া, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, মানবিক নেত্রকোনা, সেরা, ব্রাক, স্বাবলম্বী, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, হাওয়াইন গীটার শিল্পী সমিতিসহ জেলার সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলপনা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান, স্বাবলম্বীর স্বপন পাল, নারী প্রগতি সংঘের মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম, মিতালী সংঘের এটিএম রাজ্জাক, নারী নেত্রী কোহিনুর বেগম, কল্পনা মহানায়ক, বারসিকের অহিদুর রহমান, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর দেবাশিষ সরকার, সাহিত্য সমাজের সাইফুল্লাহ ইমরান, সংস্কৃতিকর্মী নারী উদ্যোক্তা নাজনীন সুলতানা সুইটি, হিমু পাঠক আড্ডার মীর্জা হৃদয় সাগর, ইয়ুথ লিডার তৃপ্তি আক্তার, শিশু ছায়ার তোফায়েল খান সায়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ফাহিম রহমান খান পাঠান ও ছাত্র ইউনিয়নের মিথুন শর্মা অভি প্রমুখ।
তারা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে সংগঠিত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান।
পরে মেইন সড়কে রাস্তায় বসে অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা হুঁশিয়ারি দেন সকল ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে লাগাতার আন্দোলনে তারা জেলার সকল সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হবেন।