ঘিওর বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং চার্জের নামে অটোবাইক থেকে চাঁদাবাজি চলছে। এর প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রfপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে অটোবাইকচালকরা।
অটোবাইকচালকরা জানান, করোনা সংক্রমণ শুরু হলে পুলিশের সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে পার্কিং এর নামে যানবাহন থেকে টাকা তোলা নিষেধ করে দেওয়া হয়। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও স্থানীয়ভাবে জিপি, পার্কিং চার্জসহ সবধরনের চাঁদা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকে। কিন্তু গত প্রায় ১৫ দিন ধরে আবার পার্কিং চার্জ বাবদ প্রতিটি অটোবাইক থেকে রসিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় শুরু হয়েছে। অটোবাইকচালক ও মালিকরা জানান, টাকা না দিলে তাদের মারধর করা হয়।
চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগে সহসভাপতি ইকরামুল হোসেন খবির লোকজনকে দিয়ে এই চাঁদা আদায় করছেন। কেবল অটোবাইক থেকেই নয় বাস, মিনিবাস, ট্রাক থেকেও তিনি পার্কিং এর নামে মোটা অঙ্কের টাকা তুলছেন। জানা গেছে, ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইকরামুল হোসেন খবির ঘিওর বাস, মিনিবাস মালিক সমিতিরও সভাপতি। যে কারণে তার ভয়ে প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায় না।
যোগাযোগ করা হলে ইকরামুল হোষেন খবির বলেন, আমি বৈধ ইজারাদার। নিযম অনুযাযী পার্কিং চার্জ আদায় করছি। তিনি বলেন, কিছুদিন বন্ধ থাকারপর আবার পার্কিং চার্জ আদায়ের অনুমতি পাওয়া গেছে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘিওর উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পার্কিং এর নামে চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, নিষেধ করার পরও এরা শুনছে না। এতে সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভামমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।