বাংলাদেশের পিঁয়াজ বাজারে জ্বলছে আগুন। দেশে পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গত সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সীমান্তের ওপারে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দেড় শতাধিক পিঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। গত ৪ দিন আটকে থাকা পিঁয়াজ ইতিমধ্যেই নষ্ট হতে চলেছে বলে এমন আশঙ্কা করছেন হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা।
পিঁয়াজ আমমদানি হবে এমন আশ্বাসে সকাল থেকে বন্দরের জিরোপয়েন্টে গিয়ে অপেক্ষা আর খোঁজ খবর নেয় ব্যবসায়ীরা। এই একঘণ্টা, দুইঘণ্টা পর পিঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করবে এমন সংবাদে হিলি বাজারে প্রতিকেজি পিঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।
ভারত সরকার বাংলাদেশে পিঁয়াজ সরবরাহ করবে না এমন সিন্ধান্তে অটুট থাকলেও শুধু মাত্র গত রবিবারে টেন্ডার করা পিঁয়াজ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে তারা। এমনই কথা শোনা যাচ্ছে। এই অপেক্ষায় বৃহস্পতিবার সারাদিনেও পিঁয়াজ রপ্তানি করেনি ভারত। আদৌ তারা আমদানিকারকদের কেনা পিঁয়াজ রপ্তানি করবে কি না এনিয়ে সঙ্কিত হিলি স্থলবন্দরে কাঁচামাল আমদানিকারকরা। বুধবার সকাল থেকে আমদানি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার আমদানি হবে এমনি অপেক্ষায় থাকে পিঁয়াজ আমদানিকারকরা।
কিন্ত হিলি বন্দরের রপ্তানিকারকরা জানায়, কাস্টমসকে অনুমতি পত্র না দেওয়ার কারণে তারা বৃহস্পতিবারও পিঁয়াজ রপ্তানি করতে পারেনি। তবে শনিবার আমদানি হবে এমনই আশ্বাস দিচ্ছে তারা।
এদিকে দেশে পিঁয়াজ প্রবেশ করছে এমন খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করছে। মঙ্গলবার যে পিঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এখন ওই পিঁয়াজই বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, গত রবিবার পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজের এলসি করা হয়েছে। গত সোমবার ভারতের হটকারি স্বিদ্ধান্তে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সে দেশের সরকার। এতে করে হিলি স্থলবন্দরে পিঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরেও ভারত সরকার এমনি ভাবে হঠাৎ করে বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে পিঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পথে বসেছিলো। আবারও একই অবস্থা। ৪ দিন থেকে ওপারে টেন্ডার হওয়া পিঁয়াজের গাড়ি আটকে রয়েছে।