টাঙ্গাইলের সাহাপাড়ায় শাবনুর আক্তার খাদিজা (২০) নামে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আব্দুল খালেক (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২২ আগস্ট) ভোরে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাতে শহরের সাহাপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে শাবনুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাবনুর দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। শাবনুরের স্বামী আব্দুল খালেক শহরের কাগমারা এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। পেশায় তিনি গাড়িচালক। এক সপ্তাহ আগে তারা গোপনে বিয়ে করে সাহাপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। শাবনুর তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে খালেক তার সাহাপাড়ার ভাড়া বাসার ঘর বন্ধ করে বাইরে চলে যান। এসময় পাশের ভাড়াটিয়াকে জানান, তার স্ত্রী ঘুমাচ্ছে তিনি জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছেন। সারাদিন যাওয়ার পর আশপাশের মানুষের সন্দেহ হয়। তারা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পুলিশকে ঘটনা জানান। পরে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পুলিশ রাত ১০টার দিকে শাবনুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
শনিবার ভোরে সদর উপজেলার করটিয়া থেকে আব্দুল খালেককে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্বাসরোধ করে দ্বিতীয় স্ত্রী শাবনুরকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
ওসি আরো জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত শাবনুরের বাবা জাকির হোসেন বাদী হয়ে আব্দুল খালেককে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
শাবনুরের বাবা জাকির হোসেন জানান, গত সপ্তাহে শাবনুর গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। শাবনুর বিয়ে করেছে কিনা তারা জানেন না।
অপরদিকে আব্দুল খালেকের মা জানান, গত সোমবার (১৭ আগস্ট) সে (খালেক) বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বাড়িতে খালেকের আরেক স্ত্রী রয়েছে।