যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অন্যরা হলেন ওই কেন্দ্রেরই প্রবেশন অফিসার মুশফিকুর রহমান, শরীরচর্চা শিক্ষক ওমর ফারুক ও কারিগরি শিক্ষক শাহানুর আলম।
শুক্রবার রাতে নিহত বন্দি কিশোর রাব্বির পিতা রোকা মিয়া বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রকিবুজ্জামান এ মামলায় ৫ জন গ্রেফতার করার কথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রের ১০ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আনসার সদস্যকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। ওই ১০ জনের মধ্যে থেকে এই ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো।
বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্মম পিটুনিতে সেখানে বন্দি তিন কিশোর মারা যায়। আহত হয় আরও ১৪ কিশোর। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের কর্মকর্তারা প্রথমে বলেছিলেন, বন্দি কিশোররা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারি করায় ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তকর্তারা সেখানে গিয়ে ভিন্ন ঘটনা জানতে পারেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোররাও গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে যে, কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই তাদের পিটিয়ে হতাহত করেছেন।