তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শেরপুরে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. আসাদুল ইসলাম (৫৫)। তিনি উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, খন্দকারটোলা গ্রামের শাহ আলম তার একটি গরু বিক্রি করতে চাইলে প্রতিবেশী রেজাউল করিম চল্লিশ হাজার টাকায় গরুটি কিনেন। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় একই গ্রামের জিল্লুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে টাকা দাবি করে বসেন তিনি। এনিয়ে গত ৭ আগস্ট রাতে রেজাউল করিম ও জিল্লুর রহমানের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এমনকি তাদের উভয়ের হাতাহাতি এবং উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরই জের ধরে পরদিন ৮ আগস্ট সকালের দিকে দু’পক্ষই আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে প্রতিপক্ষের বেধড়ক মারপিটে রেজাউলের শ্যালক আসাদুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (শজিমেক)কে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
বগুড়ার শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাাশি ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।