পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষা বাঁধের প্রায় ৫৫ মিটার পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে দরবার শরীফ ও আশ-পাশের লোকজন নতুন করে বাড়িঘর হারানোর ভয়ে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ভাঙন রোধে ওই স্থানে সিসি ব্লক ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করছে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভাঙন স্থানে শুকনো মৌসুমে বাঁধ নির্মাণে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপর দিকে গত দুই দিন ধরে পদ্মার পানি আবারও বাড়তে শুরু করায় শরীয়তপুরের ৪টি উপজেলার প্রায় ৩ লাখ পানিবন্দি মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ বুধবার সকালের জোয়ারের সময় বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রধান মোতওয়াল্লি সৈয়দ শাহ সুফি কামাল নুরী বলেন, গত কয়েক বছর বেড়িবাঁধের জন্য আমরা শান্তিতে ছিলাম। এ বছর পদ্মার ভাঙনে দরবার শরীফ এলাকায় বেড়িবাঁধের কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে আছি। শেষ রক্ষা হবে কিনা জানি না।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার জিওব্যাগ ও সাড়ে ৩ হাজার সিসি ব্লক ডাম্পিং করা হয়েছে। ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। শুকনো মৌসুমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।