সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এর মাধ্যমে ঘটে যায় অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নিখোঁজের ১৩ দিন পর নিখোঁজ সেই নববধূকে তার ফেসবুক বন্ধুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার শতরদরিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় তার ফেসবুক বন্ধু আবদুর রহিমের ছেলে শাওন মিয়াকে (২১)।
গতকাল শুক্রবার শাওনকে সিলেট আদালতে ও নববধূ আয়শাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্যে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিখোঁজ নববধূ কোহিনুর আক্তার আশার ফেসবুক বন্ধু ছিল আটক শাওন মিয়া। গত ৫ জুন পারিবারিকভাবে এক প্রবাসী আত্মীয়ের সাথে আশার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১৯ জুন স্বামীকে নিয়ে আশা তার বাবা বিশ্বনাথ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী রমজান আলীর ভাড়া বাসায় উঠেন। বিয়ের আগেও তিনি এখানে বসবাস করতেন।
এদিকে হঠাৎ ৯ জুলাই ওই বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আশা। তাকে বিশ্বনাথ থেকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার শতরদরিয়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তার ফেসবুুক বন্ধু শাওন মিয়া। এর আগে এ ঘটনায় তাকে উদ্ধারের নামে মুুক্তিপণ চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন বিশ্বনাথ সমবায় অফিসের সাবেক এমএলএস রুজিনা আক্তার (৩০) ও তার ভাই সিলেট সদর সমবায় অফিসের এমএলএস রাজিব সরকার (২৫)।
তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ নববধূ কোহিনুর আক্তার আশার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিশ্বনাথ থানার এসআই ফজলুল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শাওনকে আটক ও আশাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের উপ-পরিদর্শক এসআই ফজলুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি প্রেম কাহিনী না অপহরণ- এ বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। ভিটটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্যে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ও আটক শাওনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।