যমুনা নদীর পানি জামালপুরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বুধবার বিকালে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় পানি বন্ধি রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এদিকে মঙ্গলবার রাতে সরিষাবাড়ী উপজেলার শুয়াকৈর এলাকায় ঝিনাই নদীর উপর ২শ মিটার ব্রিজের পিলারসহ গার্ডার ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে।
জামালপুরে টানা ৪ দিন যমুনার পানি কমার পর বুধবার সকাল থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। তৃতীয় দফায় বন্যার পানি বাড়তে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হচ্ছে। বুধবার বিকালে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়াও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে সরিষাবাড়ি উপজেলার শুয়াকৈর এলাকায় ঝিনাই নদীর উপর ২শ মিটারের একটি ব্রিজ বন্যার পানির তোড়ে ১টি পিলার ও ২ গার্ডার ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ায় কামরাবাদ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ১৫ গ্রামের সাথে জামালপুর সদরের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েছে। সবমিলিয়ে সরকারি হিসেবেই পানিবন্দী রয়েছে জেলার ৭ উপজেলার ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এদিকে দুদফা বন্যায় টানা ২৫ দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় থাকায় দুর্গতদের মাঝে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে, অনেকেরই হাতে পায়ে ঘা ও ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বিশুদ্ধ পানি, খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের সংকট রয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি রুটি বানিয়ে এবং খিচুড়ী রান্না করে দুর্গত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
অপরদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুুবে ¯েœহা আক্তার নামে ২ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে ওই উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের হেলেঞ্চবাড়ী গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত শিশু হেলেঞ্চবাড়ী গ্রামের মোস্তাক হোসেনের মেয়ে।