বিয়ের কথা বলে শেরপুরের শ্রীবরদীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণকারীর সহযোগী আটক হয়েছে। উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের বালিজুরী অফিস পাড়ার পাশে পাহাড়িয়া টিলায় ওই ঘটনা ঘটে। আটক সহযোগী তাতিহাটী ইউনিয়নের বকচর গ্রামের আ. করিমের ছেলে জুয়েল (২২)। ধর্ষণকারীর স্বজন ও স্থানীয় কতিপয় লোক এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন জানান, বকচর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডার ছেলে জোনাইদ এর সাথে প্রায় এক মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। গত ১৩ জুলাই সোমবার সকাল ১১টার দিকে মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়।
পরে জোনাইদ ও জুয়েল অটোরিকশায় বেড়ানোর কথা বলে তাকে বালিজুরি অফিস পাড়ার পাহাড়ি টিলার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এর পর বিয়ের কথা বলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে মেরে ফেলার হুমকি দিলে সে চিৎকার দেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এলে জোনাইদ ও তার অপর সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তবে জুয়েলকে আটক করে স্থানীয়রা।
রাতেই গ্রাম্য সালিস হয়। পরে আটক জুয়েল মিয়াকে ভায়াডাঙ্গা পশ্চিম বাজারে এক কিন্ডারগার্টেনে আটক রাখে ভিকটিমে স্বজন ও স্থানীয়রা। রানীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। থানার ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।