স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমজমাট পশুর হাটে উপচে পড়েছে লক্ষাধিক ক্রেতা বিক্রেতা। পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকার তিনমাথা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আজ মঙ্গলবার বসেছে এই পশুহাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাঠ না খোলা ও মাস্ক না পড়ার কারণে সেনাবাহীনির সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত অভিযান চালালেও পশুহাটে তা লক্ষ্য করা যায়নি। অথচ এই হাটে দেশের ২৫টি জেলার পশু ক্রেতা-বিক্রেতারা এসেছেন। হাট মালিকের দাবি খামারীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটবার হওয়ায় সকাল থেকেই পায়ে হেটে ও বিভিন্ন যানবাহনে শতশত গরু, ছাগল নিয়ে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র তিনমাথা পশুহাটে আসতে থাকে ক্রেতা বিক্রেতারা। কোরবানির পশু আগেভাগেই কেনার জন্য ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম বেশি হওয়ায় বিশাল পশুর হাট একপর্যায়ে হাট সংলগ্ন হিলি-জয়পুরহাট সড়কে, মাদরাসা মাঠ ও পাট গোডাউন চত্ত্বরে ছড়িয়ে পড়ে।
হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড রোদে ক্রেতা বিক্রেতার কারো মুখেই মাস্ক নেই। যাদের আছে তাঁরা মুখের নিচে থতুনিতে লাগিয়ে রেখেছে। নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলা থেকে আসা পশু বিক্রেতা নুরুজ্জামানকে মুখে মাস্ক ব্যবহারের কথা বললে তিনি বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। একই কথা বলেন, দিনাজপুর উপজেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম।
হাট ইজারাদার হারুনুর রশিদ জানান, খামারিরা গরু বিক্রি করতে না পারলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। তাদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমরা পশুহাটে স্বাস্থ্য বিধি মানার চেষ্টা করছি।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, পাঁচবিবিতে পশুর বড় হাট বসে সেটা আমি জানি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাট বসে থাকলে আমি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।