ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার দুই কিশোরী প্রেমে প্রতারিত হয়ে অভিমানে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছে। এমন ধারণায় প্রেমিক হিসেবে নাম আসা রুবেল (১৪) নামের এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কুটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে ফাসঁ লাগিয়ে দুই কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত হয়নি এখনও। পরিবারের দাবি, হত্যা করা হয়েছে দুই কিশোরীকে।
গত ১৭ জুন বিকেলে কসবার কুটি পোষ্ট অফিসের পেছনের সিড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সোনিয়া (১৩) ও সুমাইয়ার (১৪) মরদেহ। দরিদ্র পরিবারের ঘনিষ্ট এই দুই বান্ধবীর একই সাথে এমন মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। তারা কি আত্মহত্যা করেছে, আত্মহত্যা করলে কেন, নাকি তাদেরকে কেউ হত্যা করেছে, এমন নানা প্রশ্ন দেখা দেয় স্থানীয় জনমনে।
জোর গুঞ্জন, ঘনিষ্ট এই দুই বান্ধবীর প্রেমিক ছিলো একজনই। কিন্তু দুই বান্ধবী কেউই জানতো না সেটি। যখন জানতে পারে তখনই প্রেমিকের ওপর ক্ষোভ-অভিমানে আত্মহত্যা করে। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে সোনিয়া ও সুমাইয়া ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পরই স্থানীয় পোষ্ট অফিসের ছাদে উঠার সিড়িতে তাদের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পান পরিবারের লোকজন। ওই সিড়ির সপ্তম ধাপে একজনের এবং নবম ধাপে আরেকজনের নিথর দেহ ঝুলছিলো। তাদের নিজ নিজ ওড়নায় ফাঁস লাগানো ছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছিলো তারা আত্বহত্যা করেছে বলেই মনে হচ্ছে তাদের কাছে।
তবে নিহত সোনিয়ার বাবা বাবুল মিয়া ও মা নার্গিস বেগম জানান, সোনিয়া ও সুমাইয়া ফাঁসি দিয়েছে এমন কোন আলামত বোঝা যায়নি। যে কোন লোকই হোক তাদেরকে মেরেছে।
নিহত সুমাইয়ার মা মিনু বেগম বলেন, কিছুদিন আগে সবাই বলছে আমার মেয়ে পোলাপানের সাথে কথা বলেছে। আমি সাথে সাথে তার কাছ থেকে ফোন রেখে দেই। আমার মেয়ে খারাপ ছিল না।
তবে এলাকার অনেকে জানিয়েছেন প্রেমের সম্পর্কের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সোনিয়ার পিতা বাবুল রিকসা চালক এবং সুমায়ার পিতা কুমিল্লায় শ্রমিকের কাজ করেন। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।