বাপের বাড়ি থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও এলাকায় বখাটেদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন।
আটক দুইজন হলো- পটিয়া কোলাগাঁও ইউনিয়নের ফোরকান মাঝির ছেলে জুয়েল (২৮) ও একই এলাকার ছাত্তারের ছেলে মিন্টু (৩৩)।
এদের মধ্যে জুয়েলকে পতেঙ্গার কাটগড় এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যে মিন্টুকে বাকলিয়া রাজাখালী এলাকা থেকে আটক করা হয়।
তারা নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে।
এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামি হলো- কোলাগাঁও ইউনিয়নের খায়ের উল্লাহ সওদাগরের বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের ছেলে হান্নান (৩২), একই ইউনিয়নের আজিজুল হক মেম্বারের বাড়ির বাদশা মিয়ার ছেলে মন্টু (৩০)।
র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, ৭ জুন নিজ বাড়ি থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে বখাটেদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। বখাটেরা স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকে জানাননি ওই নববধূ ও তার পরিবার। পরে ১৪ জুন পটিয়া থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, র্যাব ছায়া তদন্তে নেমে আসামিদের আটক করতে অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোরে পতেঙ্গার কাটগড় ও বাকলিয়া রাজাখালী থেকে তাদের দুইজনকে আটক করা হয়। অপর আসামিদের আটক করতে অভিযান চলছে।