ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ছেলের পর এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ২২ মে ছেলে মারা যাওয়ার পর গতকাল মারা গেলেন তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দুই জনের সৎকার সম্পন্ন হয়।
ছেলের করোনা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মায়ের নমুনা নেয়া হয়েছে। ওই পরিবারের আরো চার সদস্য করোনায় আক্রান্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কর্মকার পাড়ার এক যুবক চট্টগ্রাম থাকতেন। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। তবে তিনি বিষয়টি কাউকে বলেনি। বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন। এক পর্যায়ে অসুস্থ হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর হৃদরোগে তিনি মারা যান বলে জানানো হয়। করোনা সন্দেহে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তার সৎকার সম্পন্ন করা হয়। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নমুনা দেয়া হলে ওই যুবকের বড় ভাইসহ চারজনের করোনা পজেটিভ আসে।
তবে মায়ের ফলাফল আসেনি। অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় নেয়ার পর তিনি মারা যান। প্রশাসনকে জানানোর পর তাদের সহায়তায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাতেই শিমরাইল কান্দি শ্বশানে ওই নারীর সৎকার করা হয়।
প্রতিবেশি মিঠু নামে এক ব্যবসায়ী জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা যুবকের করোনা বিষয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। নমুনা দিয়েছেন কি-না বা ফলাফল কি এসেছে সেটিও সে তার পরিবারের কাউকে জানায়নি। এর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ জনিত কারণে তিনি মারা যান। ২০ দিন পর এখন মারা গেছেন তার মা। করোনা আক্রান্ত সন্দেহ থাকায় পরিবারের দুই একজন ছাড়া কেউ এগিয়ে আসতে চায়নি। প্রশাসনের লোকজনের সহায়তায় স্থানীয় আরো কয়েকজনকে নিয়ে লাশের সৎকার করা হয়।