প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে কর অঞ্চল-৩ এর উপ-কর কমিশনার শুধাংশ সাহার মৃত্যুর পর মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে দাহ করতে বাধা দেয়া হয়। পরে প্রশাসনের সহায়তায় তার শ্বশুর বাড়িতে দাহ করা হয়েছে। ঘাটাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার নিজে উপস্থিত থেকে তার মরদেহ দাহ করেছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুধাংশ সাহার স্ত্রী মানসী দাশ বলেন, তার স্বামী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার (৮ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসি গ্রামে। মৃত্যুর পর নিজ বাড়িতে শুধাংশের মৃতদেহ দাহ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় গ্রামের লোকজন বিরোধীতা করায় সেখানে দাহ করা সম্ভব হয়নি।
পরে বাধ্য হয়ে আমার বাবার বাড়ি (শুধাংশের শ্বশুর বাড়ি) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের পাড়াগ্রামে তার লাশ নিয়ে যায়। সেখানেও দাহ না করার জন্য গ্রামের লোকজন রাজি ছিল না। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তার মৃতদেহ পারিবারিক শ্মশানঘাটে দাহ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমাদের ৬ বছরের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাসা লকডাউন করা হয়েছে। বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। মৃত্যুকালে আমার স্বামীর কাছে যেতে পারি নাই। তার শেষকৃত্য দেখতে পারি নাই। মেয়েও তার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলো না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন নিয়ে আমি নিজে উপস্থিত থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পাড়াগ্রামে শুধাংশ সাহাকে শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক শ্মশানঘাটে শুধাংশ সাহার মরদেহ দাহ করি। তার স্ত্রী ও সন্তান করোনা আক্রান্ত থাকায় দাহ কার্যে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না।