অনলাইনে শত বাঁধা পেরিয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া বরগুনার অদম্য কিশোরী রিংকিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর রিংকির পাশে দাড়িয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি রিংকি ও তার দরিদ্র মা মিনতি সরকারকে তাঁর অফিসে চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়ে আগামী এক বছর পর্যন্ত রিংকির লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ যেমন কলেজে ভর্তির খরচ, বই কেনা, জামা-কাপড় তৈরি ইত্যাদি সকল খরচ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এ ছাড়া রিংকির মা মিনতি সরকারকে ইতোমধ্যেই দুই বান ঢেউটিন এবং নগদ ৬ হাজার টাকাও দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে রিংকির মা মিনতি সরকারকে আরও ১০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সুপিারিশ করেছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারও রিংকি ও তার মা নতুন জামা দিয়েছেন এবং আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া বরগুনা পৌরসভার মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনও রিংকিদের পরিবারের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে রিংকিদের জড়াজির্ণ টিনের ঘরটি ভেঙে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই রিংকির মায়ের সাথে কথা বলেছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসএম মশিউর রহমান শিহাব।
এ বিষয়ে রিংকি ও তার দরিদ্র মা মিনতি সরকার কালের কণ্ঠের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, কালের কণ্ঠের রিপোর্টের জন্য আজ সবাই জানতে পেরেছে যে, কত কষ্ট করে আমার মেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। সবাই জানতে পেরেছে একজন বিধবা নারী হয়েও আমি প্রতিনিয়ত কতটা জীবন যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মশিউর রহমান শিহাব বলেন, রিংকিকে নিয়ে কালের কণ্ঠের রিপোর্টটি তাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি রিংকিদের জন্য একটি নতুন টিনের ঘর তৈরি করে দিতে চান। এ বিষয়ে তিনি রিংকির মা মিনতি সরকারের সাথে কথাও বলেছেন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ কালের কণ্ঠকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একজন রিংকিকে খুঁজে বের করে কালের কণ্ঠ শুধু রিংকিদের সমস্যার সমাধানই করেনি বরং অদম্য এক রিংকির সাফল্যের গল্প তুলে ধরায় উৎসাহিত হয়েছে লাখো কিশোর-কিশোরী।