ঘূর্ণিঝড় \’আম্ফান\’ আতঙ্কে আতঙ্কিত সাগরবাসীরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর ফলে ক্রমশই কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপাদে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর সংকেত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাসহ সমুদ্র উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন, পাকা ও নিরাপদ স্থাপনা। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া দুইটায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিবি) সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পায়রা বন্দর থেকে বর্তমানে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রর ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ২২৫ থেকে ২৪৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ- নদীর পানির উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।