করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এ কারণে চিন্তিত উপকূলের ৬টি উপজেলা বরগুনা, বামনা, আমতলী, বেতাগী, পাথরঘাটা ও তালতলীর মানুষ। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৭ মে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ আম্ফান মোকাবেলায় জেলা পর্যায়ে প্রথম সভা করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় করণীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
রবিবার বরগুনা, পাথরঘাটা, তালতলী উপজেলার অনেক ওয়ার্ড কমিটি সভা করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) যুব রেডক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই দিন বিকাল থেকেই সতর্কীকরণ প্রচারণা চালাচ্ছে। তথ্য বিভাগ মাইকিং করে যথাসময় নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার আহ্বান জানাচ্ছে। জেলা প্রশাসক দপ্তরসহ উপজেলা পরিষদ সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বেশীর ভাগ ট্রলারই পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে যারা ছিলো, তারাও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বরগুনাকে অন্যতম ঝুঁকিপূর্র্ণ উল্লেখ করায় স্থানীয় লোকজন সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।