বগুড়ায় হৃদরোগ বিভাগের একজন চিকিৎসক ও কারাগারের এক রক্ষীসহ আরও ১০জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন সোমবার রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত দশ জনের মধ্যে মাত্র ৪জন ঢাকা ফেরত। বাকিরা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের নিজ নিজ বাড়ি, প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের একজন চিকিৎসক, বগুড়া জেলা কারাগারের একজন কারারক্ষী, কাহালু থানা ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ফাঁড়ির দুজন পুলিশ কনস্টেবল আছেন। এ নিয়ে ২৬ পুলিশ ও ১১ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ জেলায় ৮৮ জন কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার ঢাকা ফেরত ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তিনি ১৬ মে ঢাকা থেকে বগুড়ায় ফিরে ওই দিনই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরিতে নমুনা দেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলায় টঙ্গী ফেরত ২৭ বছর বয়সী একজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তিনি ১২ মে টঙ্গী থেকে বাড়ি ফেরেন। ১৬ মে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, স্থানীয়ভাবে আক্রান্তরা কোন না কোনভাবে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। কারারক্ষী কিভাবে আক্রান্ত হলেন সে সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়া কারাগারের জেল সুপারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন জানান, ওই রক্ষী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি বলেন, গায়ে জ্বর অনুভূত হওয়ার পর থেকেই তাকে কারাগারের ব্যারাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।