করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা দেশ। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানার উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক রোগী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির (৫০) বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়। তিনি পেশায় একজন অটো রিকশাচালক। জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি ১০ দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানায় ভুগছিলেন।
তার পরিবারের কেউ ঢাকা ফেরত ছিলেন না। তবে অটো রিকশাচালক হওয়ার কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এসে থাকতে পারেন তিনি। ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার রাতেই সোনাতলা পৌর এলাকার চমরগাছা ছয়ঘড়িয়া পাড়া গ্রামে নিজ গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়। জানাযা নামাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৮ জন অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে গ্রাম থেকে খানিকটা দূরে এক জঙ্গলের মধ্যে কবর খনন করে তার লাশ দাফন করা হয়। লাশ দাফনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর আলম, সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ডা. লিমন, সৈকত নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক ও করোনা দাফন কমিটির ৫ জন ইমাম। তারা হলেন জিল্লুর রহমান, আবু সাইদ, শাহজালাল, আনিছুর রহমান ও আব্দুল হামিদ।