বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু হওয়ার মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে এলাকাবাসীর। বগুড়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর আব্দুল হান্নান গত ৪ মে সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর নতুন করে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এবং হাতের কাছে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায় নতুন করে আবারো স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন সান্তাহার পৌরবাসী।
হাসপাতালটির অবশিষ্ট নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করছেন বসুন্ধরা হাউজ বিল্ডার্সের ঠিকাদার ফারুক হোসেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছেন, হাসপাতালটি পুনরায় সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করে সচল করতে সিএমএমইউ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে হাসপাতালটির সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা সপ্তম ভৌমিক, মুক্তারুজ্জামান ও সঞ্জয় কুমার জানান, ২০০৫ সালে সিএমএমইউ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও তত্ত্বাবধানে তিন কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে সান্তাহার রথবাড়ি এলাকায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় ৮০ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হঠাৎ করে বাঁকি অংশের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর ও চালু করা হয়নি। ফলে হাসপাতালটি মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিনত হয়। প্রায় ১৫ বছর পর সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসছে।
আদমদীঘি উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান সংস্কার কাজ শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২১ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে হাসপাতালটি হস্তান্তর হবে। ইতিপূর্বে এই হাসাপাতালের জন্য ২জন ডাক্তার, ৫জন নার্স, ৫জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, ১জন ফার্মাসিস্ট ও ১জন ওয়ার্ড বয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়। হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় তাদের মধ্যে ১জন ডাক্তার, ৩জন নার্স ও ১জন ওয়ার্ড বয় আদমদীঘি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন এবং বাঁকিরা বগুড়া ও ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।