করোনার মহামারীর ফলে দেশে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। নাটোরের নলডাঙ্গায় মো. ইউসুব আলী টুটুল (৪৫) নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (০৪ মে) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধামনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইউসুব আলী টুটুল উপজেলার ধামনপাড়া গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য বলে জানা গেছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশে ধামনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউসুব আলী টুটুল বসে ছিলেন। এসময় ৫/৬ জনের একটি দুবৃর্ত্তের দল টুটুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
ওসি বলেন, কারা, কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ইউসুফ আলী টুটুলের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর লোকমান হাকিম ও তার লোকজনের সাথে পুর্ব বিরোধ রয়েছে।
তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে টুটুলের পরিবার এই ঘটনার জন্য মীর লোকমান হাকিম ও তার লোকজনকে দোষারোপ করছেন।
এদিকে ইউসুফ আলী টুটুলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী, পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর লোকমান হাকিমের তিন ছেলে ও তার দুই ভাতিজা টুটুলকে কুপিয়ে জখম করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে এবং এক পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর লোকমান হাকিম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউসুফ আলী টুটুলের সাথে তাদের পুর্ব বিরোধ আছে ঠিকই। তবে এই ঘটনার সাথে তিনিসহ তার লোকজন জড়িত নন। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় ভার তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।