গোটা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারী করোনা। রাঙামাটি এখনও করোনা মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। দেশের ৬২টি জেলায় যখন করোনার মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক তখনও এই ভাইরাসের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাসিন্দারা। যদিও অপর দু’পার্বত্য জেলায় মিলেছে করোনার রোগের অস্তিত্ব। তাই অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও জেলা প্রশাসন। মানুষকে ঘরে রাখতে চলছে আপ্রাণ যুদ্ধ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, মহামারী করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন। গেলো দেড় মাস ধরে মানুষকে ঘরে রাখতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। রাঙামাটি একটি পাহাড়ি অঞ্চল।
এ জেলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করা খুবই কঠিন। দূর্গম এলাকাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। কিন্তু সেখানেও পায়ে হেঁটে সেনা সদস্য ও জেলা প্রশাসনের সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন। রাঙামাটিকে করোনা মুক্ত রাখতে বিশেষ চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। একই সাথে মানুষ যাতে ঘরে থাকে তার জন্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানুষ যাতে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে করেনাভাইরাস ঠেকাতে রাঙামাটির লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে সেনাবাহিনীও। নিজেদের রেশনের একটি বিরাট অংশ তারা পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের মধ্যে বিতরণ করে যাচ্ছে। একই সাথে উদর উপজেলা, পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এছাড়া এলাকায় এলাকায় জীবাণুনাশক পানিও ছিটানো হচ্ছে। আর একান্ত প্রয়োজনে যেসব মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পড়া নিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, মানুষ যদি আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরে ঘরে অবস্থান করে তাহালে রাঙামাটিকে অবশ্যই করোনাভাইরাস মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।