কুমিল্লায় পাঁচ মিনিটের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ গ্রাম

ঝড়ের স্থায়িত্ব মাত্র পাঁচ-সাত মিনিট। তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। কয়েক মিনিটের ঝড়ে সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের সৈয়দপুর এবং বুড়িচং-এর ডুবইচর, চানগাছা ও কালাকচুয়া গ্রামে উপড়ে পড়ল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টিনসেট ঘরের চাল এবং ভেঙে পড়ল কাঁচা ও আধাপাকা ঘর-বাড়ি। নষ্ট হয়েছে মাঠে থাকা ধানসহ কৃষকের বিভিন্ন ফসল।

বুধবার বিকাল পৌনে ৫টায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪ গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কালিরবাজারের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা জানান, সৈয়দপুরে আমার একটি দোকান আছে। আসরের নামাজের পর দোকানটি খুললাম। দেখলাম, আকাশ অন্ধকার হয়ে আসছে। শুরু হলো শিলাবৃষ্টি। আমি দোকানের সাটার নামাতে গেলাম। দুই-তিনটি শব্দ করে হঠাৎ খুব জোরে শোঁ-শোঁ আওয়াজ শুরু হলো। সাটার নামানোর সময় পেলাম না। তার মধ্যেই চারদিকে ঘর,বাড়ি,গাছ-পালা ভাঙা শুরু হলো। ঘরের চাল ঘুর্ণিঝড়ের সাথে গাছের আগায় ঘুরছে। সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ছে। দোকানের পাশের একটি টিউবওয়েল ছিল, সেটির উপরের অংশ উপড়ে পড়েছে ঝড়ের তীব্রতায়। মুরগি রাখার ৭টি ঘর ঝড়ে উপড়ে গেছে। এতে ২৫ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে পাঠের পাকা ধান ও বিভিন্ন ফসল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সৈয়দপুরসহ চার ও পাঁচ গ্রামের কৃষকরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেকান্দর আলী জানান, আমার একটি ঘরের চাল উপড়ে পড়েছে। আমার ইউনিয়নের সৈয়দপুরের অনেক মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে পাশ্ববর্তী উপজেলা বুড়িচংয়ের কয়েকটি গ্রামেও তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়। তারাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Scroll to Top