মহামারী করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৫ জেলায়। এর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। আবর ঢাকার মধ্যে বেশি ঢাকা সিটিতে। এরপর যথাক্রমে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগেই ৭৩ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর অর্ধেক ঢাকা সিটিতে, বাকি অর্ধেক অন্য জেলাগুলোতে।
‘নারায়ণগঞ্জ মোট আক্রান্ত ব্যক্তি ৪৯৯ জন। যার মধ্যে সিটি করপোরেশনে আছেন ৩৬৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠছেন ১৬ জন। এ জেলায় মোট কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৬৮১ জন। এরমধ্যে ৫৯৮ জন কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৮৩ জন।’
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫২টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৬ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৭৪টি।
নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯০ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭২ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন, নারী ৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৭ জন, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইলে একজন করে তিনজন। বয়স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের অধিক বয়সের রয়েছেন তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে দু’জন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে রয়েছে তিনজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দু’জন।
‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫০ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ৯০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৩ হাজার ২৪০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ১ হাজার ৩২৭ জন। মোট কোযারেন্টিনে এসেছেন ৩ হাজার ৫৬৭ জন।
এসময় সিএমএসডি\’র পরিচালক (ভান্ডার ও সরবরাহ) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।