দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব লংঘনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই জেলাটির কোনো না কোনো এলাকায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছেন অধিবাসীরা। এবার নাসিরনগরে ধান মাড়াই করা নিয়ে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৬৫জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় গোকর্ণ ইউনিয়নের ডিঘর ও সূচীউড়ার তিতাস নদীর পাড়ে ফারুক মিয়া ধান মাড়াই করছিল। সে সময় কামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ধান মাড়াইয়ের উপর একটি ছোট ট্রাক উঠিয়ে দেয়। এসময় ফারুক মিয়া বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কামালের পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। তখন শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৬৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
এই ঘটনার পর ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গোকর্ণ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, \’তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ হয়। উভয়পক্ষের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের লোকজনকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।\’ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা প্রতিদিনের এই মারামারির ঘটনায় শংকা প্রকাশ করেছেন।
ওসি সাজেদুর রহমান বলেন, করোনার ভয়ে মানুষ যখন ঘরে তখন নাসিরনগরে প্রতিদিনই ঘটছে ঝগড়ার ঘটনা। যা খুবই দুঃখজনক। গতকাল একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।