নারায়ণগঞ্জে নার্সসহ ৩ জন করোনা আক্রান্ত, সাময়িক বন্ধ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ

নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের ঘটনায় পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এ জেলায় দুই জনের মৃত্যুসহ ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার এমন পরিস্থিতিতে আবারো ঘটেছে ভয়ানক করোনা সংক্রমণ। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নার্সসহ আরও ৩ জন করোনা আক্রান্ত, বন্ধ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।

একজন ওয়ার্ডবয় ও দুইজন নার্সের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়াতে জরুরী বিভাগ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই তিনজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। রোগ গোপন করে চিকিৎসা নিতে আসা ৩ রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন তারা।

সোমবার রাতে পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর ১০টা থেকে জরুরী বিভাগ সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা আসে। মঙ্গলবার জরুরী বিভাগ জীবাণুমুক্ত করার পর ফের খুলে দেয়া হবে। আর এ সময়টাতে এ হাসপাতালে না এসে শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগ এলাকাতে একজন নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে ওই নারীকে ১০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। এছাড়াও পরবর্তীতে আরো দুইজন আক্রান্ত রোগী রোগ গোপন করে ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব কারণে জরুরী বিভাগের কয়েকজনকে এর আগেই হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার প্রদত্ত রিপোর্টে নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ তিনজনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। ওই তিনজনকে ইতোমধ্যে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সে কারণেই আপাতত জরুরী বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার জরুরী বিভাগ জীবাণুমুক্ত করা হবে। জরুরী বিভাগ বন্ধ থাকলেও বহির্বিভাগ ও অন্যান্য সেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৩০ মার্চ বন্দ‌রের রসুলবাগ এলাকার পুতুল নামের ৫০ বছর বয়সী নারী ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যান। প‌রে আইইডিসিআরকে খবর দিলে তারা এসে রোগীর মৃতদেহ হতে নমুনা সংগ্রহ করে। ২ দিন পর ২ এপ্রিল রিপোর্ট আসে তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন। কুর্মিটোলা নেওয়ার আগে পুতুলকে ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, পুরো নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় যাদের মধ্যে ২৩ জন করোনা আক্রান্ত।

Scroll to Top