ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এক সাংবাদিককে ‘মোবাইল চোর’ আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দারকে বুধবার দুপুরে উপজেলা সড়কের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ এপ্রিল) বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা নাবিল বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের ছোট ছেলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ক্যাডার। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নাবিলসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
আদালতের জিআরও মিলন হোসেন জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন আসামির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আগামী অফিস খোলার তারিখে রিমান্ডের শুনানির তারিখ ঘোষণা করে আদালত সাংবাদিক নির্যাতনকারী আদনান রহমান নাবিলকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অনিয়মের অভিযোগে জেলেদের সরকারি সাহায্যের চাল চুরির অভিযোগ করায় ভোলায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের ছেলে নাবিল হায়দার। সাংবাদিক সাগর স্থানীয় ডব্লিউ নিউজের সম্পাদক। ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার সাংবাদিক সাগর চৌধুরী জানান, তাকে ফোন করে বাসা থেকে রাজমনি সিনেমার কাছে নিয়েই মারধর শুরু করে নাবিল। তার মোবাইল দিয়ে লাইভ করে বলে, আমি নাকি তার মোবাইল চুরি করেছি। এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিক সাগরের জামার কলার ধরে তাকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিচ্ছেন নাবিল। আশেপাশে অনেক মানুষ দাড়িয়ে তা দেখছেন।
এদিকে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, নাবিলকে সুনির্দিষ্ট মামলায় বুধবার (১এপ্রিল) উপজেলা সদরের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (২এপ্রিল) সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।