সিলেটের বিশ্বনাথে প্রাইভেট ডাক্তার শূন্য, চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা বিপাকে

করোনা আতঙ্কে কর্মস্থলে আসছেন না প্রাইভেট ডাক্তাররা। ফলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা জুড়ে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত শিশু রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। অভিভাবকেরা শিশুদের চিকিৎসা করাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা জুড়ে শতাধিক প্রাইভেট চেম্বার রয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের। আছে ৫টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। প্রতিদিন লেগেই থাকতো রোগীদের ভিড়। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর চেম্বারে বসছেন না কেউ। ফলে চিকিৎসাবঞ্চিত সাধারণ রোগীরাও হচ্ছেন দুর্ভোগের শিকার।

সংক্রমিত নয়; অন্যান্য সমস্যায় ভূগছেন, এমন রোগীরাও পাচ্ছেন না চিকিৎসা সেবা। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কারণে তারা চেম্বারে আসছেন না বলে জানা গেছে।

সরেজমনি ঘুরে দেখা যায়, ডাক্তার পাড়ায় সুনশান নীরবতা। চেম্বার সংশ্লিষ্ট ফার্মেসী খোলা থাকলেও নেই ডাক্তার। বন্ধ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কোথাও চোখে পড়ে ‘হাঁচি-কাশি ও সর্দি-জ্বরের চিকিৎসা হয় না’ এমন নোটিশ।

পুরানবাজারের পি.আর মেডিকেল হলের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইমামুল হক বলেন, নিরাপত্তার কারণে প্রথম দু’একটি চেম্বার বন্ধ ছিলো। মানবিক কারণে এখন প্রতিদিন দু’এক ঘণ্টা, অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

নতুনবাজারের সন্ধানী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, স্বল্প সময় হলেও নিয়মিত রোগী দেখছি। সন্ধ্যার পরে চেম্বার খোলা হচ্ছে না। তাই ওই সময়টাতে কেউ আসলে হয়তো আমাকে পাচ্ছে না।

Scroll to Top