কুষ্টিয়ায় আইসোলেশনে থাকা সেই শিশু করোনা আক্রান্ত নয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলার সিভিল সার্জন জানান, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আইইডিসিআর থেকে আজকে আমাদের হাতে এসেছে। রিপোর্টে জানা গেছে ওই শিশুর দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই। এছাড়া কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার এক যুবকের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলও হাতে এসেছে। সেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত নয়।
জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে গেল ২৩ মার্চ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ভর্তির সময় জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের সদস্যরা তাদের কেউ বিদেশ থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে যাননি বলে উল্লেখ করেন। তখন শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গেল ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার তার অবস্থা অবনতির দিকে যায় এবং শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রায় সব ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।
ওইদিন সকালে চিকিৎসকেরা ওই পরিবারের সদস্যদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই পরিবারের এক আত্মীয় জানান, শিশুটির বাবা গেল ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ছিলেন। এ তথ্য জানার পর শিশুটিকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, শিশুটির শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সব রকম উপসর্গ ছিল। এ কারণে শিশুটি করোনায় আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে তার রক্তের নমুনা আইইডিসিআর পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল।
জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে গেল ২৩ মার্চ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ভর্তির সময় জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের সদস্যরা তাদের কেউ বিদেশ থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে যাননি বলে উল্লেখ করেন। তখন শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার তার অবস্থা অবনতির দিকে যায় এবং শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রায় সব ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। পরে বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়। পরদিন আইইডিসিআর শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। আজ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এসে পৌঁছায়।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।