দেশজুড়ে করোনাভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। যারা চিকিৎসাসেবা দেবেন সেই চিকিৎসক এবং নার্সরাও সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) অভাবে রোগী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সারা দেশে একই অবস্থা। স্বাভাবিক সময়ে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো রোগীতে ঠাসা থাকত সেগুলো এখন রোগীশূন্য।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে না এসে উপায় নেই এমন দুই একজন রুগী এসে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে তাড়াহুড়া করে চলে যাচ্ছে। চিকিৎসক নার্সদের একরকম অলস সময় কাটছে। পিপিই পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় শঙ্কায় রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সরা।
অন্য সময় দেখা গেছে ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনশ রুগী বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা নিত। কিন্তু বর্তমানে বহির্বিভাগ প্রায় রুগী শূন্য।
হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পর থেকে রুগীর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। তাছাড়া হাসপাতালে এলে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলে এ ধারণায় কোন রোগী হাসপাতালে আসতে চাইছে না।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জেরিন জুই জানান, করোনা সমস্যাই হাসপাতালে রুগী না আসার অন্যতম কারণ।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার (ডিজিস কন্ট্রোল) ডা. নাবিলা হাসান মুনা জানান, সরকারি হিসাব মতে এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন বিদেশ থেকে এসেছে। এদের মধ্যে ১০৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পেরেছি। অন্যদের দেওয়া ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি। যারা কোয়ারেন্টাইনে ছিল তাদের মধ্যে ২৭ জন ছাড়া সবাইকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তারাও হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করেছেন। দু-চারটি হাসপাতালে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে ওই সব হাসপাতাল খালি হয়ে যায়। এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই হাসপাতালে যাচ্ছেন না। এসব কারণে অনেক বড় বড় হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা অলস সময় পার করছেন।
ডা. রেজওয়ানুর আলম বলেন, রুগীর সংখ্যা কমে গেলেও চিকিৎসার জন্য রুগীদের হাসপাতালের মোবাইল হট লাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এ নম্বরেই ফোন করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রোগীরা সেবা নিচ্ছেন।